তানভীরুল আলম তোহাঃ অসংখ্য তরুণ সমাজের নানা প্রান্তে কাজ করে যাচ্ছেন সমাজ পরিবর্তনের প্রত্যয়ে। তাদেরই একজন ফিরোজ হাসান। অবশ্য এ নামে খুব বেশি কেউ চেনেন না তাকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবাই তাকে চেনেন, ‘ফ্রি মোশান ফিরোজ’ কিংবা ‘ফিরোজ হাসান’ নামে, যিনি আপাদমস্তক এক ভ্রমণপিয়াসু। বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়ান পাহাড়-পর্বত, বন-জঙ্গলে। শুরুতে ভ্রমণকালে আশপাশের বিভিন্ন মনোরম দৃশ্য ভিডিও করে আপলোড দিতেন ফেসবুকে। ভ্রমণে আসা যাওয়ার মাঝে কোনো গরিব পথচারী, পথশিশু চোখে পড়লে তাদের সাহাঘ্য করতেন।
একসময় চিন্তা করলেন, এসব সাহাঘ্যের ঘটনা ভিডিও করে করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিলে আরও অনেকে অনুপ্রাণিত হবেন। সেই চিন্তা থেকেই মানবিক সেবার দৃশ্যগুলো ক্যামরাবন্দি করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড শুরু করেন। এ নিয়ে ফিরোজ বলেন, ‘আমি খুব ট্রাভেল করি, বাইক নিয়ে এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াই; আর আসা-যাওয়ার মাঝে যতটুকু পারা যায় গরিব মানুষদের সাহাঘ্য করতাম। এক সময় মনে হলো আমার এ কাজ যদি ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেই, হয়ত আরও অনেকেই অনুপ্রাণিত হবে, তারাও তেমন কাজ করবে। সেই চিন্তা থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ভিডিও শুরু করি।’
ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, বাইক নিয়ে কোথাও যাওয়ার পথে ফুল বিক্রেতা ছোট্ট শিশুরা দৌড়ে এলে তাদের থেকে বিশ টাকা মূল্যের ফুল নিয়ে বিনিময়ে দিচ্ছেন এক হাজার টাকার নোট। আবার গরিব দুঃস্থদের সঙ্গে নিয়ে দোকান থেকে কিনে দিচ্ছেন চাল, ডাল, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য; বস্ত্রহীনদের কিনে দিচ্ছেন জামাকাপড়। তরুণদের অনুপ্রেরণা জোগাতে ফিরোজের এই ভিন্ন ধরনের মানবসেবা নেটিজনদের প্রশংসায় ভাসছে। লাখ লাখ তরুণ তার ভিডিও দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সমাজসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।